সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

ক্ষেতলালে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা 

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

ক্ষেতলালে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা 

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ধামশন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। বেরিয়ে গেছে ছাদের জরাজীর্ণ রড। ফাটল দেখা দিয়েছে দেয়াল, ছাদ, পিলার ও বিমে। তারপরে শ্রেণিকক্ষ সঙ্কটের কারণে গাদাগাদি করে জরা জীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চলছে। শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষক ও অভিভাবকদের। 

জানা যায়, ক্ষেতলাল উপজেলা সদর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে নিভৃত পল্লীতে ১৯৭২ সালে ৪৯ শতক জায়গায় স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে তিন কক্ষের একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। দুই যুগ আগে নির্মিত ভবনগুলি বর্তমানে পরিত্যাক্ত হলেও শ্রেণিকক্ষ সঙ্কটের কারণে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চলছে ১৭৮ জন শিক্ষার্থীর। 

পাঁচজন শিক্ষকের তত্বাবধানে চলছে এ বিদ্যালয়ের পাঠদান। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক সহকারী শিক্ষক বলেন, বর্তমানে সম্পূর্ণ ড্যামেজ হয়ে গেছে ভবনটি। মাঝে মধ্যে ছাঁদ ও বীম থেকে পলেস্তারা খসে পরে। তারপরও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই ক্লাস নিতে হচ্ছে। এছাড়া কক্ষ সঙ্কটে গাদাগাদি করে বসে ক্লাস নেয়ার কারণে লেখাপড়ায় মনযোগ থাকে না ছাত্রছাত্রীদের। গরমের সময় অতিষ্ঠ হয়ে যায় ছাত্রছাত্রীরা। 

আবদুল করিম নামের এক অভিভাবক বলেন, ওই বিদ্যালয়ে আমার দুই সন্তানই পড়াশোনা করে। বিদ্যালয়ের ভবন এমন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকি। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও বিদ্যালয়ের নতুন ভবন করা হচ্ছে না। ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিকা রহমান বলেন, ক্লাস করার সময় ছাদের পলেস্তারা খুলে পরে অনেক ভয় লাগে। আকাশে মেঘ দেখলেই বাবা-মা স্কুলে আসতে দিতে চান না। 

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজিম উদ্দিন বলেন, একদিকে শ্রেণিকক্ষের স্বল্পতার জন্য ছাত্রছাত্রীদের গাদাগাদি করে বসতে হয়। যার জন্য পাঠদান ব্যাহত হয়। অপরদিকে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পাঠদানের সময় প্রায়ই বাচ্চাদের সামনেই পলেস্তারা খুলে পড়ে। এতে বাচ্চারা ভয় পেয়ে যায়। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হোসেন তালুকদার বলেন, বিদ্যালয়ের ভবন কয়েক বছর ধরে জরাজীর্ণ ছাদের পলেস্তারা প্রায়ই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপরে খুলে পড়ে। বিকল্প উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে এ ভবনে পাঠদান করা হচ্ছে। 

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একটি লিখিত দিয়েছে। আমরা শিক্ষা কমিটির রেজুলেশন নিয়ে পাঠিয়ে দিবো। নতুন যেসব ভবন হবে সেগুলোর মধ্যে ওটাও থাকবে।

টিএইচ